দুই দলের শক্তিমত্তার বিস্তর ফারাক। আর্জেন্টিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, ফিফা র্যাংকিংয়ে দুই নম্বরে। অন্যদিকে পানামর র্যাংকিং ৬১। সেই তুলনায় জয়টা খুব বড় হলো না আর্জেন্টিনার। তবে মাঠজুড়ে দাপট যা দেখানোর, দেখালো বিশ্বচ্যাম্পিয়নরাই। দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি ছুঁলেন দুর্দান্ত এক মাইলফলক।
বুয়েনস এইরেসের এল মনুমেন্তালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালের প্রীতি ম্যাচে পানামাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। থিয়াগো আলমাদার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দুর্দান্ত ফ্রি কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি।
পেশাদার ক্যারিয়ারে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে মেসির গোল হলো ৮০০টি। সবচেয়ে বেশি ৮৩০ গোল করে শীর্ষে আছেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো
রোনালদো।
প্রীতি ম্যাচটিতে ৭৫ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। শট নেয় ২৬টি। তবে তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মোটে ৯টি। অন্যদিকে পুরো ম্যাচে ২ শট নিতে পারে পানামা। যার একটিও লক্ষ্যে ছিল না।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ফাইনাল জেতা দলটিকেই শুরুর একাদশে রাখেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। একের পর এক আক্রমণ করেও অবশ্য গোলের দেখা পাচ্ছিল না আর্জেন্টিনা। অবশেষে ৭৮তম মিনিটে ডেডলক ভাঙতে সক্ষম হয় তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
মেসির বাঁকানো ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফেরার পর বল বুক দিয়ে নামিয়ে শট নিতে গিয়ে ঠিকমতো পারেননি লেয়ান্দ্রো পারেদেস। সুযোগ পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে নেন বদলি খেলোয়াড় আলমাদা।
মেসির কপাল খারাপই মনে হচ্ছিল। দু দুটি ফ্রি কিক তার পোস্টে লাগে। তবে ম্যাচের শেষদিকে এসে ঠিকই গোল তুলে নেন সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।
নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে মাইলফলক ছোঁয়া গোলটি করেন মেসি। বাঁকানো শটে রক্ষণ দেয়ালের ওপর দিয়ে খুঁজে নেন ঠিকানা। জয়টাও নিশ্চিত হয়ে যায় আর্জেন্টিনার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির ছিল এটি ৯৯তম গোল।
পরের প্রীতি ম্যাচে আগামী ২৮ মার্চ কিরাসাওয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে গোল পেলে মেসির সেঞ্চুরি পূরণ হয়ে যাবে।