কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণায় ভারতজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। আজই কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মোদিবিরোধী ১২টি রাজনৈতিক দলের বৈঠক করে এ নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন করার আহ্বান জানান। কংগ্রেস নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিক্ততা ভুলে কার্যত রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আজ এক টুইট বার্তায় মমতা বলেছেন, ‘যেখানে অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপির নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন, সেখানে বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার অপরাধে। এ ঘটনায় আজ গণতন্ত্র নতুন নীচতায় পৌঁছাল।’
গুজরাটের সুরাত জেলা আদালত গতকাল রাহুল গান্ধীকে একটি মানহানি মামলায় দুই বছরের সাজা দেন। একই সঙ্গে আদালত তাঁকে ১০ হাজার রুপির বেলবন্ডে জামিন দিয়ে ৩০ দিনের সময় দেন উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য। রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে প্রচারে গিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘সব চোরের পদবি মোদি হয় কেন?’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে জড়িত হন ললিত মোদি, ব্যাংকঋণ মামলায় পলাতক নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টানেন তিনি।
এরপরই পদবি অবমাননার অভিযোগে মানহানি মামলা করেছিলেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলার জেরে গুজরাটের সুরাটের জেলা আদালতের বিচারক এইচ এইচ বর্মা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ভারতের লোকসভা রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্যের পদ খারিজ করে দেন।