রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ দিনগত রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামের এক কলেজছাত্রী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আদালতে দাখিল হয়নি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন।
সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন।
ঠিক এক বছর আগে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। মামলার পর হত্যার সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা সুমন শিকদার ওরফে মুসাসহ ২৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামি সুমন শিকদারসহ তিনজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানার ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার শো-রুমের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা হামলা করে। তারা টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার বলেন, এ মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত প্রায় শেষ দিকে। তদন্ত শেষ হলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করবো।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যা মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে। এটা খুব সেনসিটিভ মামলা। দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া জরুরি, যেন মামলার বিচারকাজ গতি পায়।