সাংস্কৃতিক জাগরণ না হলে পথভ্রষ্ট হতে পারে বাংলাদেশ: সারওয়ার আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি’ গানটি গাইল ২৬ জন খুদে শিল্পী। দাদরা তালের এই গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ছায়ানটের স্বাধীনতা দিবসের সাংস্কৃতিক আয়োজন। ১২টি পরিবেশনা নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী সংগীতের পর স্বাগত বক্তব্য দেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী। তিনি বলেন, ‌মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসীদের কাছে স্বাধীনতা দিবসটি হালখাতার দিনের মতো। অর্ধশতাব্দী পর এখন মিশ্র এক অনুভব কাজ করে। একদিকে দেশের অভাবিত অগ্রগতি যেমন আশান্বিত করে, অন্যদিকে ধর্মবিদ্বেষ ও লোভের বিস্তার সমাজের নৈতিকতার প্রান্তরেখাকে অতিক্রম করতে উদ্ধত হয়েছে। এমন এক অস্থির সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হয়, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেমন স্বাধীনতাসংগ্রাম হয়েছিল, তেমনি একটা সাংস্কৃতিক জাগরণ বড় প্রয়োজন। এ দায় শুধু রাষ্ট্রের নয়, সমাজের। না হলে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্বাগত বক্তব্যের পর শুরু হয় একক পরিবেশনা। নুসরাত জাহান রুমার একক সংগীত পরিবেশনার পর কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর লেখা ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন মাসুদুজ্জামান। আবার একক গান ও একক আবৃত্তির পর বড়দের সম্মেলক গান ‘আয়রে বাঙ্গালী আয় সেজে আয়’ পরিবেশিত হয়।

শিল্পী ডালিয়া নওশিনের দুটি গানের পর প্রদর্শিত হয় সুমন দেলোয়ার নির্মিত ‘জলগেরিলা ৭১’ তথ্যচিত্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনা জুট মিলের এক কর্মচারীর রণাঙ্গনে অংশ নেওয়া এবং বর্তমান জীবনে তাঁর টিকে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে সমাজের নানা সংকটের কথা।

আয়োজনের শেষে ‘লাখো শহীদের রক্তমাখা’ গান পরিবেশন করে নালন্দা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

শেয়ার করুন