বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে ৮ ওভারে ৮১ রান তুলতে পেরেছে সফরকারী আয়ারল্যান্ড। তাতেই ২২ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। এর আগে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে ১৯.২ ওভারে ২০৭ রান তুলেছিলো স্বাগতিকরা।
বৃষ্টি আইনে ৮ ওভারে ১০৪ রানের লক্ষ্য পায় আইরিশরা। রান রাড়া করতে নেমে নাসুম আহমেদের করা প্রথম ওভারে ১৮ রান তুলে নেন পল স্টার্লিং ও রস আদায়ের। মোস্তাফিজের করা দ্বিতীয় ওভারে ১৪ রান তুলে সঠিক পথেই হাঁটছিলো সফরকারীরা। কিন্তু তৃতীয় ওভারে রান চাকা থামান হাসান মাহমুদ। ৫ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
চতুর্থ ওভারে তিনটি উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। তাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আয়ারল্যান্ড। ১৭ রানে পল স্টার্লিং, ১ রানে লরকান টাকার ও শূন্যরানে ফেরেন জর্জজ ডকরেল। এছাড়া তাসকিনের বলে আউট হওয়ার আগে ১৯ রান করেন হ্যারি টেক্টর। এছাড়া ২১ রানে ডেলানি ও ১ রানে ক্যাম্ফের অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ৩৮ বলে ৬৭ রান করা রনি তালুকদার।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান আইরিশ দলনেতা পল স্টার্লিং। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৮১ রান আসে। যা প্রথম ছয় ওভারে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর।
ফিফটির পথেই ছিলেন দুই ওপেনার। কিন্তু ৩ রানের আক্ষেপ থেকে যায় লিটন দাসের। ক্রেইগ ইয়াংয়ের করা বলে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে পল স্টার্লিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। মাত্র ২৩ বলে খেলা ইনিংসটি চারটি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো। এদিকে ফিফটি পূরণের পর ৬৭ রানে থামেন রনি। মাত্র ৩৮ বলে খেলা ইনিংসটি সাতটি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো। এদিকে ১৪ রান করেন শান্ত।
এদিকে ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন তৌহিদ হৃদয়। আর ২০ রানে সাকিব ও ৪ রানে মিরাজ অপরাজিত থাকেন। ফলে ১৯.২ ওভারে সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৭ রান।