উত্তর কোরিয়া আবারও দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে। সোমবার (২৭ মার্চ) মিসাইল ছোড়ার কথা নিশ্চিত করে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। সিউল ও ওয়াশিংটনের পাঁচ বছরের মধ্যে বৃহত্তম সামরিক মহড়া চালানোর কয়েকদিন পরেই এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হলো।
উত্তর কোরিয়া সব সময়ই ওই অঞ্চলে সামরিক মহড়ার বিরোধিতা করে আসছে। এটিকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আগ্রাসন বলেও অভিহিত করেছে কিম জং উন প্রশাসন। এ মাসের শুরুতে কিম জং উন সামরিক বাহিনীকে প্রয়োজনে একটি ‘প্রকৃত যুদ্ধ’ প্রতিরোধ করার কথাও বলেছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) বলছে, আমাদের সামরিক বাহিনী উত্তর হাওয়াংহাই প্রদেশের জুংওয়া এলাকা থেকে সকাল ৭টা ৪৭ মিনিটে পূর্ব সাগরের দিকে ছোড়া দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সনাক্ত করেছে।
জেসিএস এক বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে মহড়ার জেরে নজরদারি ও সতর্কতা জোরদার করেছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ফ্রিডম শিল্ড’ নামে বৃহত্তম সামরিক মহড়া চালানো হয় ২৩ মার্চ পর্যন্ত। দেশ দুটির নিরাপত্তাজনিত কারণে এ ধরনের মহড়াকে উত্তর কোরিয়া ২০১৮ সাল থেকে হুমকি হিসেবে দেখছে।
উত্তর কোরিয়া ২০২২ সালে ৭০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে যার মধ্যে মার্কিন মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর সম্ভাব্য রেঞ্জসহ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।
পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
সূত্র: আল-জাজিরা, এনডিটিভি