নিষেধাজ্ঞার পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশ্রয় পেয়েছে র‌্যাব: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশনস দেওয়ার পরও সরকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রশ্রয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, র‌্যাবের ওপর স্যাংশনস কেন দেওয়া হয়েছিল? আমাদের দেশের এ সরকার, যারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, তাদের বেআইনি আদেশ পালন করতে গিয়ে এ ঘটনাগুলো ঘটে ঘটেছিল। স্যাংশন দেওয়ার পরে ওই সব কর্মকর্তা বা র‌্যাবের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এতে তারা (র‌্যাব) প্রশ্রয় পেয়েছে এবং একের পর এক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।

২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বনানী থেকে মোটরসাইকেল করে কৃষক দলের ইফতার মাহফিলে যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব।

universel cardiac hospital

মির্জা ফখরুল বলেন, নওগাঁয় একজন সাধারণ নারী, যিনি চাকরি করছেন, তার সন্তানদের মানুষ করছেন, তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন তারা অস্বীকার করছেন। র‌্যাবের ওপর স্যাংশনস দেওয়া হয়েছিল এতে আমরা কেউ আনন্দিত হইনি লজ্জিত হয়েছিলাম। স্যাংশন দিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল।

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের মানুষকে হত্যা-নির্যাতন-গুম-খুনের মাধ্যমে দমন করে সরকার একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এ সরকার, যারা নির্বাচিত নয়, তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ছয়শোর বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, হাজারও নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। এরইমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ভয়াবহ দানবীয় এ সরকার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে। যে আন্দোলন আমরা শুরু করেছি, তাতে অংশ নিয়ে মাঠে নেমে এ পর্যন্ত ১৭ জন নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তবুও আমাদের ভাত-কাপড়ের আন্দোলন, খাবারের আন্দোলন, অধিকারের আন্দোলন, বেঁচে থাকার আন্দোলন, ভোটের অধিকারের আন্দোলন চলবে।

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, নিতাই রায় চৌধুরী, বরকতউল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

শেয়ার করুন