এটা কোন ধরনের সাংবাদিকতা, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগের বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে যে প্রতিবেদনের কারণে তাকে আজ বুধবার ভোর চারটায় বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করছে পরিবার, সেই প্রতিবেদন ‘পলিটিক্যালি মোটিভেটেড’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

আজ দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নবীনগরে একটা বাচ্চার হাতে ১০ টাকা দিয়ে স্বাধীনতা নিয়ে তার মন্তব্য নেওয়া হয়েছে। ছেলের নাম সবুজ। তাকে বানানো হয়েছে জাকির হোসেন। ছেলেটি স্কুলের ছাত্র, তাকে বানানো হয়েছে দিনমজুর। এটা কোন ধরনের সাংবাদিকতা, এই প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।

উল্লেখ্য, গত রোববার প্রথম আলো অনলাইনের এক প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের সময় শিশুশ্রমিক জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। প্রতিবেদনটির প্রতিবেদক ছিলেন শামসুজ্জামান।

সচিবালয়ে সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মতবিনিময় শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টার পরপর। এতে মন্ত্রীর বক্তব্যের পর একজন সাংবাদিক তাঁকে জানান, যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছিল, সেটি সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদককে ভোররাতে সিআইডি পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকের কথার পিঠেই ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটি আমি জানি না। কিন্তু কথা হলো রিপোর্টটা কী রিপোর্ট। উত্তরে ওই সাংবাদিক বলেন, পরে সেটি সংশোধন করা হয়েছে। উত্তর শুনে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিসের সংশোধন। এত বড় মিথ্যাবাদ, মিথ্যা রিপোর্ট করা, সরি বললেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়?…এটা একটা অপরাধ।

ওবায়দুল কাদেরের কাছে সাংবাদিক জানতে চান, প্রথম আলোর প্রতিবেদনটির মূল বিষয়বস্তু ছিল বাজারে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিনিসপত্রের দাম এখন কমছে। আস্তে আস্তে আরও কমবে। জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতি সারা দুনিয়ায়। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা দুনিয়াতেই দাম বাড়ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সারাবিশ্বই সংকটে আছে বলে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বেই কস্ট অব লিভিং (জীবনযাত্রার ব্যয়) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যতিক্রম, এটা তো বলা যাবে না। আমরা বেশি দামে কিনি, অল্প দামে বিক্রি করতে হয়, এটিই তো বাস্তবতা।

শেয়ার করুন