কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান উৎসব চলছে। তাই বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর থেকে নদীর রমনা ঘাটে এলাকায় লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে।
রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে এ স্নান উৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে ব্রহ্মপুত্রের তীরে বসেছে দুদিনব্যাপী মেলাও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর স্নান উৎসবে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে। মেলায় পুণ্যার্থীদের পোশাক পরিবর্তনের ৩৮ বুথ, পয়োনিষ্কাশনের জন্য ৩৫টি অস্থায়ী টয়লেট ও বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য অর্ধ শতাধিক নলকূপ স্থাপন করেছে সাত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পুণ্যার্থীদের রাত যাপনের জন্য মেলার কাছেই ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তিন স্তরের শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
স্নান করতে আসা মালতি রায় বলেন, ‘১০ বছর পর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে এসেছি। ভগবানের কৃপায় স্নান করলাম। আমার সব পাপ মোচন করে সুস্থভাবে যেন জীবন যাপন করতে পারি।’
পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি তপন কুমার এনি বলেন, এ বছর দুলক্ষাধিক পুণ্যার্থীর আগমন ঘটবে বলে আমরা ধারণা করছি। সব প্রস্তুতি আছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন পুণ্যার্থীদের নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। এছাড়া স্নান ঘাট এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় আমরা এই স্নান উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করি।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি আছে। উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।