অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয়: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে এভাবে কটাক্ষ করে প্রথম আলোর সংবাদ প্রচার করা এবং একটা শিশুকে ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে যেটি বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে, শিশুটি না বললেও সেটা প্রচার করেছে। এটি কি সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি নয়? সেজন্য প্রচণ্ড সমালোচনা হয়েছে, এটি ঠিক নয় বিধায় আপলোড হওয়ার পরে সেটি তারা সরিয়েও ফেলেছিল। কিন্তু সেটার স্ক্রিনশট তো বিভিন্ন জায়গায় ছিল, অনেকে শেয়ার করেছেন, সেগুলো রয়েও গেছে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে, ঘুরছে।

তিনি বলেন, এতদপ্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলা করেছেন, মামলার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে এবং আইনের গতিতে আইন চলবে। অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয়।

universel cardiac hospital

সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ও ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ প্রশ্ন করেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গ্রন্থকার পপি দেবী থাপা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন জালের দাম কিন্তু কাপড়ের দামের চেয়ে বেশি ছিলো, এখনো জালের অনেক দাম। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে প্রকাশ করা হয়েছিল। অনেকে বলছেন, ২৬ মার্চে প্রথম আলোর এ ঘটনাটি বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই। রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অসত্য পরিবেশন সর্বমহলের মতে একটি অপরাধ, ডিজিটাল অপরাধ।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, কোনো সাংবাদিক যদি অপরাধ করেন, তার কি শাস্তি হবে না? কেউ যদি অপসাংবাদিকতা করেন, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করেন এবং একটি ছেলের হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার নামে অসত্য লেখেন, চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন করে, সেটার কি বিচার হবে না? আমরা কি কেউ বিচারের উর্ধ্বে, আইনের উর্ধ্বে? তা তো নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা, সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে সমগ্র দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, সাংবাদিকদেরও ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছেন। কদিন আগে একজন নারী সাংবাদিক বিদেশ থেকে চরিত্র হননের দায়ে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

শেয়ার করুন