জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, ’৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠকসহ প্রত্যেক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিলেন স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক এবং ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী। বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্বে উপস্থিত, সেই সময় ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।স্বাধিকার আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে তাঁর নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমিও সেই সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করি। তাঁর সঙ্গে আমার রয়েছে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের বহু স্মৃতি। বাঙালির এই অকুতোভয় বীর সন্তানের মহাপ্রাণের সংবাদটি আমাকে গভীরভাবে শোকাহত করেছে।
২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে তথা মুজিব বাহিনীর নেতা হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন নূরে আলম সিদ্দিকী। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।