চলছে চৈত্র মাস। সাধারণত এ মাসে কাটফাটা রোদ থাকলেও এবছর আকাশ মেঘলা থাকায় গরমের তীব্রতা অতটা নেই। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যার পর রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল বজ্রপাত।
সারাদেশেই ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া বিভাগের। একই সঙ্গে আগামীকাল সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সারাদিন রোদময় থাকলেও সন্ধ্যার পরে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার পরে শুরু হয় বিদ্যুৎ চমকানি। মুহুর্মুহু শব্দে বজ্রপাত হতে থাকে। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। হালকা এক পশলা বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় নগরীর পথঘাট।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
নাজমুল হক আরও জানান, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি ছিল। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাঙ্গামাটিতে।
নদীবন্দরের ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।