র্যাব হেফাজতে নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হকের দায় আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে নওগাঁ জেলা প্রশাসক থেকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। অধিকতর তদন্তের জন্য রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, নওগাঁ থেকে ঘটনার প্রাথমিক প্রতিবেদন পেয়েছি। এনামুল হক যেহেতু রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত, সে জন্য ওই অফিস থেকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। আজকের মধ্যেই এ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যুগ্ম সচিব এনামুল হক কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে তদন্ত প্রতিবেদনের পর। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা তদন্ত প্রতিবেদনের পর জানা যাবে।
জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় এনামুলের ভূমিকা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এনামুল হক নিজেই একটি মামলার আসামি। এক নারীর দায়ের করা মামলায় তার বিচার চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও জেসমিনের স্বজনদের অভিযোগে জানা গেছে, এনামুল হক নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে নওগাঁর সদর উপজেলার ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনকে র্যাবের হাতে তুলে দেন। মামলা ছাড়াই জেসমিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু হয়।