ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। এর ফলে ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদানে আর কোনো বাধা থাকল না।
ফিনল্যান্ডের বিষয়ে গত সপ্তাহেই সবুজ সংকেত দিয়েছিল হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট। ৩০ সদস্যের জোটে কেবল বাকি ছিল তুরস্ক। তুরস্কের সম্মতি ছাড়া ন্যাটোয় যোগদান অসম্ভব ছিল ফিনল্যান্ডের।
কারণ, নিয়ম অনুযায়ী নতুন কোনো দেশকে ন্যাটোয় যোগ দিতে হলে এর সব সদস্য দেশের অনুমতি প্রয়োজন। শেষ দেশ হিসেবে সম্মতি দেওয়ায় ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ফিনল্যান্ডকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে আপত্তি জানিয়েছিল তুরস্ক। প্রায় এক বছর ধরে আলোচনার পর চলতি মাসের শুরুতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আশ্বাস দেন, ফিনল্যান্ডের যোগদানের বিষয়ে তাদের আর কোনো আপত্তি নেই। এবার পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতেও তার প্রতিফলন দেখা গেছে। তুরস্কের সব এমপি ফিনল্যান্ডের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এর ফলে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটের ৩১তম সদস্য হতে চলেছে ফিনল্যান্ড।
এর আগে সমদূরত্ব নীতি অবলম্বন করতো নরডিক দেশটি। কোনো সামরিক জোটে অংশ নিতো না তারা। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর নীতি পরিবর্তন করে ফিনিশরা। ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখায় তারা।
বস্তুত, রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ফিনল্যান্ডের। এ কারণেই ভয় পাচ্ছে তারা।
এদিন তুরস্কের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। আপত্তি তুলে নেওয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
সুইডেনের অবস্থান
ফিনল্যান্ডের সঙ্গে সুইডেনও ন্যাটোয় যোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনোভাবেই সুইডেনের যোগদান মেনে নেবে না। কারণ, তুরস্কের ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’কে সমর্থন করে সুইডেন।
তুরস্কের অভিযোগ, কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সুইডেন জঙ্গি বলে মানতে চায় না। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছে তুরস্ক। গোটা বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে ন্যাটোর দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। সুইডেন জানিয়েছে, ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার বিষয়ে তারা এখনো আশাবাদী।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে