বারের রমজানে রাজধানীর সড়কগুলোতে তীব্র যানজট। এতে নাকাল নগরবাসী। অনেক রুটেই যাত্রীদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে ৩/৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। যানজট নিরসনের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১৫ দফা নির্দেশনার পরও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। বরং ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে, যানজট পরিস্থিতি ততো প্রকট আকার ধারণ করছে।
গত দুইদিন নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ইফতারের সময়টুকু ছাড়া বাকি সময়ে সব রাস্তায় তীব্র যানজট। উত্তরা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতেই সময় লাগছে চার ঘণ্টার বেশি। উত্তরা থেকে নিউমার্কেট যেতে সাড়ে ৪ ঘণ্টাও লেগেছে। এছাড়া শাহবাগ, বিমানবন্দর সড়ক, মগবাজার, মহাখালী, মিরপুর, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে।
তীব্র যানজটের কারণে অনেকে সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেননি। রমজানের কারণে এখন অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এই সময়ে সব সড়কে মানুষ ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ দেখা যায়।
তিনটি কারণে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে মনে করে ট্রাফিক বিভাগ। রমজান মাসে অফিসের সময় কমে যাওয়ায় পুরো ১২ ঘণ্টার চাপ এখন ৮ ঘণ্টায় ঠেকেছে। সংগত কারণেই যানজট বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ।
এতে যানজট পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আর তৃতীয় কারণ হলো, গুলশান বা উত্তরার মতো যেসব সড়কে দ্রুতগতির যান বেশি চলাচল করে, সেখানে হঠাৎ যানজটের সৃষ্টি হলে এর প্রভাব অন্য এলাকাগুলোতেও পড়ে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমান জানিয়েছেন, রমজান মাসে ক্ষণে ক্ষণে রাস্তা ও যানজটের চিত্র বদলায়। সকালে এক রকম তো দুপুরে অন্যরকম। আবার বিকালে দেখা যায় অন্য চিত্র। একাধিক কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই পরিকল্পনা করেও অনেক সময় যানজট সামাল দেওয়া যায় না।