মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। শুক্রবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানায়। বিবৃতিতে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বানও জানায় তারা।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল বলে মন্তব্য করেছে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ। সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল বাবুর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এটি সাংবাদিকতার নামে এজেন্ডা বাস্তবায়নের ধারাবাহিক চেষ্টার অংশ। সাজানো ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতা।
আরো বলা হয়, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদনের ব্যাপারে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা দায়েরের আগে আমরা প্রেস কাউন্সিলের মতামত নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সম্পাদক ফোরামের এক বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য। কিন্তু আমরা মনে করি, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন, স্বাধীন সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিপন্থি ও অপরাধমূলক। প্রথম আলোতে যেভাবে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্র এবং জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সম্পাদক ফোরামের বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতারা হলেন- প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন ও সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার।
এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দৈনিক প্রথম আলোতে মহান স্বাধীনতা দিবসের সংবাদ প্রকাশের নামে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা পরিচালিত হয়েছে।