নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর পিস্তল উচিয়ে গুলি করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার (২ এপ্রিল) বিকেলে শহরের ফৌজদারি পাড়ার তার বাসা থেকে সে পিস্তলটি জব্দ করেছে পুলিশ।
এদিকে শনিবারের ঘটনায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলা ও গুলির অভিযোগে মামলা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিয়ন হোসেন বাদী হয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম ও সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিনসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনের নামে মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর রোববার বিকেলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুলকে আটক করেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের দিকে বিএনপি নেতা বাচ্চু গুলি করেছেন এমন অভিযোগে সমাবেশ করেছে যুবলীগ। শহরের নিচাবাজারে প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু, অ্যাডভোকেট মালেক শেখ, চিত্ত রঞ্জন সাহা, নাটোর পৌর সভাপতি সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে হঠাৎ বিএনপির কর্মসূচিতে আক্রমণ করে বিএনপি অফিস ও তার বাসায় হামলা করেছেন তাতে নিজের জীবন রক্ষার জন্য বাচ্চু নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে গুলি করতেই পারেন। আত্মরক্ষার অধিকার সবার রয়েছে।
নাটোর জেলা বিএনপি অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য নাটোর উপ-শহর মাঠে মঞ্চ তৈরির সময়ই বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয়। পরে শনিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা, উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছোঁড়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়।