ঈদুল ফিতরের পর তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতেই জাপান যাবেন তিনি। এরপর আমেরিকা হয়ে লন্ডন যাবেন। লন্ডন থেকে মের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত বছরের নভেম্বরে টোকিও যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে জাপান সফর স্থগিত করা হয়। পরে চলতি এপ্রিলে নির্ধারিত হয় প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর কর্মসূচি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এই সফরে ব্যবসা-বাণিজ্যসংক্রান্ত একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাপানের রাজধানী টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। প্রথমদিকে এই কর্মসূচি ২৪ এপ্রিল রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে একদিন পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল করা হয়েছে। কারণ, ২৪ এপ্রিল শপথ নিতে পারেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। টোকিও সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জাপান ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপগ্রেডেশন কো-অপারেশন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
২৯ এপ্রিল ওয়াশিংটনের উদ্দেশে জাপান ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি সেখানে (ওয়াশিংটন) ৫ মে পর্যন্ত অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে তিনি ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। এর পরপরই ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের সিংহাসনে আরোহণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডন যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সংস্থাটি। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এছাড়াও ৫ মে রয়েছে যুক্তরাজ্যে রাজা চার্লসের সিংহাসনে আরোহণের অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন। এখানে (লন্ডন) কয়েকদিন অবস্থানের পর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।