ঝড়-বৃষ্টি কমে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। আগামী দু-একদিনে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
তাপমাত্রা যখন ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে তখন সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ধরা হয়।
কিছুদিন ধরে সারাদেশেই বৃষ্টি হচ্ছিল। সঙ্গে ছিল বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়। কোথাও কোথাও হয়েছে শিলাবৃষ্টিও। কিন্তু সেই প্রবণতা অনেকটাই কমে গেছে।
রোববার (২ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি হয়নি। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে মো. বজলুর রশিদ জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
সোমবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়, এ দুটি স্থানে ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।