জনদৃষ্টি পাঁচ সিটিতে, ইসির টেস্ট কেস

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এ নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য টেস্ট কেস। তাই সব কিছু বিবেচনায় রেখেইে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। সরকারের জন্যও এ নির্বাচন অগ্নিপরীক্ষা। কারণ, এ নির্বাচনের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে। ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জমজমাট নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা দৌড়ঝাঁপ করছেন।

এ নির্বাচনে সরাসরি দলীয়ভাবে অংশ নেবে না বিএনপি। তবে কুমিল্লা স্টাইলে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে অংশ নিতে পারে দলটি। এ পরিস্থিতিতে কেমন ভোট হয়, তা দেখতে জনদৃষ্টি এখন পাঁচ সিটিতে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৫ থেকে ৬ মাস আগে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দেশের রাজনৈতিক দল, বিদেশি কূটনীতিকসহ বিভিন্ন মহল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই নির্বাচন সরকার ও বিরোধী দলগুলোর জন্য ভোট পরীক্ষা। আর নির্বাচন কমিশনের জন্যও এ নির্বাচন একটি চ্যালেজ্ঞ। কারণ, এ নির্বাচনের ওপরই নির্ভর করবে জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে। এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারলে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে ইসি।

পাঁচ সিটি করপোরেশনের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ প্রান্তে। তাই নির্বাচন কমিশন থেকে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে আগামী ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে তিন ধাপে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। প্রথম ধাপে গাজীপুর, দ্বিতীয় ধাপে খুলনা ও রাজশাহী এবং তৃতীয় ধাপে বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।

তবে আজ ঘোষণা হতে পারে এ নির্বাচনের তফসিল। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ সিটিতে নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ বেড়ে গেছে। আওয়ামী লীগসহ নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের মতো করে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি শুরু করেছে। কাকে কোন পদে নিয়োগ দিলে বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন