আমি সব সময়ই বলে এসেছি যে একটি অর্থবছরের জন্য সরকার যে বাজেট ঘোষণা করে তা শুধু আয়-ব্যয়ের অঙ্কের হিসাব নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক দলিল। সেই বিচারে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার জেরে বাংলাদেশের সামনেও সামষ্টিক অর্থনৈতিক যে চ্যালেঞ্জগুলো তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষাপটে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য আগামী জুন মাসে যে বাজেট প্রস্তাবিত হবে তা আলাদা গুরুত্বের দাবি রাখে। আর নির্বাচনের এই বছরে বাজেটটির তাৎপর্য আরো বেশি। কেননা একদিকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার কারণে কিছুটা হলেও সংকোচনমুখী বাজেট প্রস্তুত করার তাগিদ থাকবে, জনতুষ্টিবাদী বরাদ্দ দেওয়ার রাজনৈতিক চাপও থাকবে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি বাজেট মহান জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটির ক্ষেত্রেই বিদ্যমান বাস্তবতায় (মহামারি মোকাবেলা, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নিরসন) গতানুগতিক বাজেটের পরিবর্তে উদ্ভাবনী সময়োপযোগী বাজেট প্রণয়নের চাহিদা ছিল। সরকারের তরফ থেকে সে রকম বরাদ্দ ও তা বাস্তবায়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। তবে হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিনের বরাদ্দ-বাস্তবায়নের যে ধারা প্রচলিত রয়েছে তা থেকে চাইলেও বেরিয়ে আসা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। যেমন—এ সময়ে এসেও আমরা দেখেছি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। তবু আশা করা যায়, বিগত তিনটি অর্থবছরে সংকটকালীন বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের যে অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে তার ভিত্তিতে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে বিদ্যমান বাস্তবতার প্রতি আরো বেশি সংবেদনশীলতা দেখাতে সক্ষম হবেন আমাদের বাজেট প্রণেতারা। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির উজান স্রোতে নগরের নিম্নমধ্যবিত্ত ও অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত কম আয়ের কর্মীদের বর্তমান আয়-রোজগারে জীবন চলা যে বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে সে কথাটি হিসাবে নিয়ে তাঁদের জন্য বাড়তি সামাজিক সুরক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এখন পর্যন্ত আসছে বছরের বাজেট বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে যে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে বিদ্যমান বাস্তবতার প্রতি তারা সময়োপযোগী সংবেদনশীলতা দেখাতে আন্তরিকভাবেই আগ্রহী। প্রতিবছরের মতো এবারও অর্থ বিভাগ মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রতিবছরের মতো অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ শোনার আগেই গত বছর একই রকম যে মতবিনিময় হয়েছিল সেখানে তাঁরা যে পরামর্শ দিয়েছিলেন সেগুলোর কতটা গ্রহণ করে কী কী পদক্ষেপ সরকারের দিক থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা দেওয়া হয়েছিল অর্থ বিভাগের তরফ থেকে। জবাবদিহির এই সংস্কৃতিকে স্বাগত জানাতেই হয়। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এবারের বৈঠকে অর্থনীতিবিদদের দিক থেকে স্বভাবতই আমদানি ব্যয় কমাতে কিছুটা সংকোচনমুখী বাজেট প্রণয়ন, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব থেকে কম আয়ের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার মতো বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগের প্রতিনিধিরাও একই রকম ভাবনাই ভাবছেন বলে মনে হলো। তাই আসছে অর্থবছরের জন্য একটি সময়োপযোগী বাজেট প্রণয়নের বিষয়ে আমি আশাবাদী।
এ কথা তো সত্যি, দীর্ঘকাল ধরেই আমরা বলে আসছি যে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি যে হারে হচ্ছে সে তুলনায় রাজস্ব আহরণ বাড়ছে না। জিডিপির তুলনায় আমাদের রাজস্ব ১০ শতাংশেরও কম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কখনোই এই অনুপাত ১০ শতাংশের বেশি হতে পারেনি। কিন্তু সমতুল্য অন্য দেশগুলোতে এই অনুপাত আরো বেশি হওয়ায় আমি মনে করি বাংলাদেশে জিডিপির অন্তত ১৫ শতাংশের সমপরিমাণ কর আহরণ খুবই সম্ভব। এ বছর আমদানি কম। তাই শুল্কও কম আদায় হচ্ছে। তাই রাজস্বের নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করার প্রয়োজন রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, আমদানির চাপে রিজার্ভ ক্ষয় এবং সর্বোপরি মূল্যস্ফীতির কারণে নাগরিকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার প্রেক্ষাপটে সরকারের আয় বাড়ানোর চাপটি নতুন করে অনুভূত হচ্ছে। ইদানীং আইএমএফসহ অন্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরাও সরকারের আয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথাটি জোর দিয়ে বলতে শুরু করেছে। জিডিপির অন্তত আধা শতাংশ বাড়তি রাজস্ব আদায়ের তাগিদ দিচ্ছে তারা। তাই আসছে বছরের বাজেটে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিকে আগের তুলনায় বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন নীতিনির্ধারকরা। সন্দেহ নেই এটি একটি চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। তবে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে এ লক্ষ্য অর্জন খুবই সম্ভব। রাজস্ব নিয়ে বিশেষত বৃহৎ করদাতাদের সঙ্গে যে বিপুল পরিমাণ মামলার জট রয়েছে সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে অল্টারনেটিভ ডিসপুট রেজল্যুশনসহ (এডিআর) প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে রাজস্ব আয়ে বড় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা নিশ্চয় সম্ভব। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত নয় এমন কম্পানিগুলোর চেয়ে আরো বেশি ছাড় দেওয়া হলে বড় কম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। এতে বাড়তি কর আদায়ের পাশাপাশি দেশের পুঁজিবাজারকেও প্রকৃত অর্থে চাঙ্গা করা সম্ভব হবে। তবে এসবের চেয়েও বেশি গুরুত্বের দাবি রাখে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের কর প্রদান প্রক্রিয়াকে যতটা সম্ভব সহজ করা যায় তার ব্যবস্থা করা। ডিজিটালি কর দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু উদ্যোগ এরই মধ্যে নেওয়া হলেও সেগুলোর অগ্রগতি এখনো সন্তোষজনক নয়। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিলম্ব করার সুযোগ আর নেই। সরকারও কর ডিজিটাইজেশনে আগের চেয়ে বেশি উদ্যোগী হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। গত ২৯ মার্চ ২০২৩ তারিখেই ঘোষণা এসেছে যে এই পহেলা বৈশাখ (অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে সব ভূমিকর পুরোপুরি ডিজিটালি আহরণ করা হবে। এটি নিশ্চয় এক বড় অগ্রগতি।
কর আয় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো গেলেও বাজেট ঘাটতি থাকবেই। সেটি কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে গত কয়েকটি অর্থবছরে আমাদের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের আশপাশে আছে (তবে চলতি বছরে ৫ শতাংশের বেশি)। ২০১৩-১৪ অর্থবছরেও এই ঘাটতি জিডিপির ১.১ শতাংশ ছিল। তার পর থেকে অবকাঠামো খাতে বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে করোনাজনিত অর্থনৈতিক স্থবিরতা মোকাবেলার লক্ষ্যে দেওয়া প্রণোদনা বিবেচনায় নিলে জিডিপির শতাংশ হিসাবে বাজেট ঘাটতির অনুপাত বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলেই মানতে হয়। এমনিতেও জিডিপির ৫ শতাংশের আশপাশে বাজেট ঘাটতি থাকাকে বাংলাদেশের মতো দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির জন্য প্রত্যাশিত হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তবে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই ঘাটতির অনুপাত যেন খুব বেশি না বাড়ে সে বিষয়ে বিশেষ নীতি-মনোযোগ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বিশ্ববাজারের অস্থিরতার মধ্যে (বিশেষ করে যখন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটেছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়) বাজেট ঘাটতি বেশি হওয়া মানেই মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ানো। ঘাটতির আকারের চেয়ে বেশি মনোযোগের দাবি রাখে ঘাটতি অর্থায়নের বিষয়টি। সাম্প্রতিক অর্থবছরগুলোতে আমরা ঘাটতি অর্থায়নের জন্য দেশের অভ্যন্তরের ব্যাংকিং খাতের ওপর বেশি ভর করেছি। এই প্রবণতা থেকে এ বছর বেরিয়ে আসা চাই। তবে তা খুব সহজ হবে বলে মনে হয় না। সরকারের বাজেট ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে বেশি ঋণ করা হলে ব্যক্তি খাতে ঋণের সরবরাহ কমে যাবে। তাতে পুরো অর্থনীতি আরো চাপে পড়ে যেতে পারে। বরং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সহজ শর্তের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিয়ে ঘাটতি পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করাই সমীচীন হবে। এর মধ্যে আমাদের শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তির বিচারে এবং সময়োপযোগী অর্থনৈতিক কূটনীতির জোরে আইএমএফের ঋণ পাওয়া গেছে। এডিবি ও বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে আসবে বলে ধরে নেওয়া যায়।
মুদ্রাস্ফীতির চাপে হিমশিম খাওয়া মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীর আওতায় শহরের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ওএমএস প্রগ্রাম আরো সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের কথা ভাবা যেতে পারে। অনলাইনেও এ সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ করার জন্য স্থানীয় সরকার, প্রশাসন ও অ-সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অংশীদারি গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া যায়। বিশেষ করে নগরাঞ্চলের অতিদরিদ্রদের জন্য নতুন নতুন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি অন্তত পাইলট ভিত্তিতে হলেও নেওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রেও সামাজিক সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণ বাড়ানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলার দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর (বিশেষ করে চর ও হাওর এলাকার) জন্য আপৎকালীন সহায়তার ভাতা প্রদান করার প্রগ্রাম হাতে নেওয়া যেতে পারে। নগরের গরিবদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা না গেলে কার্ড দেখিয়ে তারা নির্দিষ্ট দোকান থেকে পণ্য কেনার সুযোগ করে দিলে খুব ভালো হতো।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে আমরা জানি বাজেটের সামাজিক খাত হিসেবে। সংকোচনমুখী বাজেট তো প্রণয়ন করতেই হবে। তবে এই সংকোচনের চাপ থেকে এ দুটি খাতকে যত সুরক্ষা দেওয়া যায় ততই মঙ্গল। এ জন্য স্বাস্থ্য খাতের উদাহরণ টানা যায়। বাজেটে এ খাতের জন্য সাধারণত ৫-৬ শতাংশ বরাদ্দ থাকে। এটি বাড়িয়ে যদি ৭-৮ শতাংশ করা যায় এবং ওই বাড়তি বরাদ্দ যদি বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ এবং গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে তাঁদের পারিশ্রমিক বাবদ ব্যয় করা যায়, তাতে গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাপ্রার্থীদের অর্থনৈতিক চাপ অনেকটাই কমবে। বর্তমানে তারা মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ বহন করছে। যেভাবে বললাম সেভাবে বরাদ্দ দেওয়া গেলে এই অনুপাত কমে ৫০ শতাংশে নেমে আসতে পারে। শিক্ষার ক্ষেত্রেও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় রেখে বরাদ্দের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা গেলে মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় দুই-ই বাড়বে। প্রশিক্ষণের ওপর বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর দিকেও বাজেট নজর দিতে পারে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তামাকজাত পণ্যের ওপর করারোপ প্রসঙ্গ। সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের ওপর কর বাড়ালে এসবের ব্যবহার কমবে। তামাকের ব্যবহারে সাধারণ মানুষের রোগবালাই বেড়েই চলেছে। তামাক পণ্যে যথাযথ করারোপ করলে শুধু জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে তা-ই নয়, এ থেকে বাড়তি রাজস্বও আসতে পারে। যেমন—চলতি অর্থবছরে বাজেটে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের ঘোষিত খুচরা মূল্য বাজার মূল্যের চেয়ে কম হওয়ায় সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব হারাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসছে বছরে বাজার মূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে সিগারেটের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করলে এবং সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করলে এ থেকে বাড়তি ৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসতে পারে। তাই এ কাজটি করা গেলে একদিকে রাজস্ব আদায় বাড়বে, অন্যদিকে সরকার ও ব্যক্তির স্বাস্থ্য খরচ কমবে। বাজেট এ ক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে।
মোট কথা, বিদ্যমান বাস্তবতার প্রতি সংবেদনশীল থেকে কিছুটা সংকোচনমুখী বাজেটে একদিকে রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং অন্যদিকে কম আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা আসবে জুনের বাজেট অধিবেশনে—সেই কামনাই করছি।
লেখক : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর