সাকিবের পর হাফ সেঞ্চুরি মুশফিকেরও

মত ও পথ ডেস্ক

দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের ওপর ভর করে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের করা ২১৪ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে কিছুটা বিপদে পড়েছিলো টাইগাররা। কিন্তু অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের দৃঢ়তায় এরই মধ্যে সে বিপদ কাটিয়ে উঠেছে স্বাগতিকরা।

ঝড়ো গতিতে ব্যাট করে প্রথমে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ঝড়ো গতিতে না হলেও তার দেখাদেখি হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলক পার হলেন মুশফিকুর রহিমও। ৬৯ বলে ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। দু’জন মিলে এরই মধ্যে গড়ে তুলেছেন ১৩০ রানের জুটিও।

universel cardiac hospital

এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রোন ৩৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭০। ৭৪ রানে সাকিব আল হাসান এবং ৫৩ রানে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম।

৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করার পরপরই মুমিনুল হকের উইকেট হারিয়ে দারুণ বিপদে পড়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর সেই বিপদ থেকে টাইগারদের টেনে তোলার গুরু দায়িত্ব পালন করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। সে সঙ্গে ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। ৪৫ বলে ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।

নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়েছেন শূন্য রানে। তামিম ইকবাল আউট হলেন ২১ রানে এবং ১৭ রান করে বিদায় নেন মুমিনুল হকও। ৪০ রানের মধ্যে অভিজ্ঞ তিন ব্যাটার আউট হওয়ার পর সেই পুরনো শঙ্কাই উঁকি দিতে শুরু করেছিলো। প্রথমবার খেলতে নেমে আইরিশদের কাছেও কী তাহলে হেরে যাবে বাংলাদেশ?

প্রথম দিন শেষ বিকেলে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে অস্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করেছিলো টাইগাররা। রান ছিল ৩৪। ১৮০ রানে তখনও পিছিয়ে বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় আজ সকালে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিমের ওপর প্রত্যাশা ছিল সবচেয়ে বেশি। এ দু’জন ভালো একটা জুটি গড়বেন এবং বাংলাদেশকে একটা শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাবেন, এ প্রত্যাশা নিয়ে সকাল সকাল মানুষ খেলা দেখতে বসেছিলেন।

কিন্তু কী আশ্চর্য, সকালের খেলা শুরু হতে না হতেই বোল্ড মুমিনুল হক। মার্ক অ্যাডেয়ারের বলটি ছিল লেগ স্ট্যাম্পের ওপর ফুল লেন্থের। মুমিনুল এক পা এগিয়ে এসে স্কয়ার লেগের ওপর কাট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিচু হয়ে আসা বলটির লাইনেই যেতে পারলেন না। তার আগে দেখলেন নিজের স্ট্যাম্প উড়ে গেলো।

বাংলাদেশকে চরম বিপদের মুখে রেখে সাজঘরে ফিরে গেলেন মুমিনুল। এ সময় দলের রান ৪০। ৩৪ বলে ১৭ রান করে বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক।

শেয়ার করুন