হাজার হাজার শিশু জোরপূর্বক সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া: দাবি ইউক্রেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনীয় শিশুদের সুরক্ষা ও রাশিয়ার সংঘটিত অপরাধ নিয়ে স্বনামধন্য আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী আমাল ক্লুনির সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলাপ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়ার্মাক। শনিবার (৮ এপ্রিল) এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়।

ইউক্রেনীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত অঞ্চল থেকে অন্তত ২০ হাজার শিশুকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব ইউক্রেনীয় শিশুদের বাবা-মা’র কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের রুশ পরিবারের কাছে স্থানান্তর করা হয়।

এ প্রসঙ্গে আন্দ্রি ইয়ার্মাক টেলিগ্রামে এক পোস্টে দাবি করেন, জোর করে সরিয়ে নেওয়া এসব শিশুরা কোথায়, কী অবস্থায় আছে, তাদের পরিণতি কী, এ সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই পরিবারের।

এ অবস্থায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান নির্বাসিত শিশুদের নিজ দেশে (ইউক্রেন) ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছেন। জড়িত রুশ অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তাদের ভবিষ্যত ও সুরক্ষার বিষয়টিও তুলে ধরেন ইয়ার্মাক।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে রাশিয়ায় নির্বাসিত করার অভিযোগ রয়েছে। ওই শিশুদের ‘রাজনৈতিক শিক্ষা’ দেওয়া হচ্ছে।

মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী ক্লুনি ইউক্রেনের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এ বিষয়ে জবাবদিহিতার প্রচারে কাজ করবে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করবে তারা।

ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ অভিযানের বিরুদ্ধে ক্লনির সমর্থনে ধন্যবাদ জানান ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে কয়েক হাজার বেসামরিক ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। মস্কোর চলমান যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থা নিয়ে ইউক্রেনকে মানবিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো।

সূত্র: সিএনএন

শেয়ার করুন