রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী প্রজন্মকে স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য স্কাউট নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ‘বাংলাদেশ স্কাউটস’র ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশগ্রহণকারী কাউন্সিলর ও দেশের সব পর্যায়ের স্কাউট সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
আবদুল হামিদ বাংলাদেশ স্কাউটসের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে রৌপ্য ব্যাঘ্র ও রৌপ্য ইলিশ অ্যাওয়ার্ডসহ অন্যান্য অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্কাউটিং হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক, স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও শিক্ষামূলক আন্দোলন। নিয়মিত শিক্ষার পাশাপাশি স্কাউটিং একটি সম্পূরক ব্যবহারিক শিক্ষাব্যবস্থা।
তিনি বলেন, স্কাউটদের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ব্যক্তি জীবনে এর প্রতিফলন ঘটিয়ে দেশের যুব সম্প্রদায়কে আত্মনির্ভর, সচ্চরিত্র ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা স্কাউটিংয়ের মূল লক্ষ্য। ‘আমি আশা করি, বাংলাদেশে স্কাউটিং কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে স্কাউট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হবেন’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে একটি সুখী সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত সোনার বাংলা। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সরকার দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে যুবসমাজকে সৎ, আদর্শবান ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এজন্য স্কাউটিং হতে পারে একটি কার্যকর মাধ্যম।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ স্কাউটস’র ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা সফলতা কামনা করেন।