কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, বড় বড় নেতারা বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছেন, তারা এখন বাংলাদেশ হতে চান। আর বাংলাদেশে বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, কিছু বুদ্ধিজীবী ও কিছু মিডিয়া বলে পাকিস্তানই ভালো ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশ করে লাভ হয় নাই। এরা দেশের শত্রু, পাকিস্তানের দালাল।
শনিবার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর জুরাইনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত রমজান উপলক্ষ্যে গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের যে পর্যায়ে এখন আছে, সে পর্যায়ে আসতে পাকিস্তানের আরও ১২ বছর লাগবে। কাজেই যারা বলে পাকিস্তানই ভালো ছিল, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- আপনারা পাকিস্তানের পত্রিকা পড়ুন, খোঁজখবর নিন। পাকিস্তানে এখন একটি ডিমের দাম ৩০-৩৫ টাকা, এক ডলার সমান ২৫০ রুপি। পাকিস্তানে কত মানুষ না খেয়ে থাকে তার খোঁজ নিন।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে ২০০১-২০০৬ সালে মঙ্গাপীড়িত এলাকায় প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকতেন, শতশত মানুষ না খেয়ে মারা যেতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশে একটি মানুষও না খেয়ে থাকেনি, খাদ্যের কষ্ট করেনি।
নির্বাচন ও ইভিএম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে ইভিএম বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন কী বলবে বিএনপি? আমি মনে করি, তারা এ সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানাতে পারতেন। আমি বিএনপিকে বলতে চাই- আপনারা ভুলপথে আছেন। আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও আর মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দায়িত্ব তাদের। কমিশনের নিকট আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সেটি ব্যালট, ইভিএম বা যেভাবেই হোক আমাদের আপত্তি নেই। আমরা স্বচ্ছ, সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় যেতে চাই। নিরপেক্ষ নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়, সেটিও আমরা মেনে নেব।
নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা প্রস্তুত থাকুন। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস, বর্বরতা ও পৈশাচিকতাকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে।
অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।