এবার ‘সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলায়’ আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে৷ গত ৬ এপ্রিল ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর আহমেদ ইসলামাবাদের রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
প্রথম তথ্য প্রতিবেদনে (এফআইআর) বলা হয়েছে, পিটিআই প্রধান তার একটি বক্তৃতায় সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘অনুপযুক্ত ভাষা’ ব্যবহার করেছেন।
পাকিস্তানি দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০৫ ও ১৩৮ নম্বর ধারাকে অন্তর্ভুক্ত করে এ মামলার এজাহার প্রস্তুত করা হয়েছে। ধারা ১৩৮ এর আওতায় সামরিক কর্মকর্তা, সৈনিক, নাবিক বা বিমান বাহিনীর সদস্যদের অবাধ্যতার কাজে প্ররোচিত করার দায়ে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে।
৫০০ ধারাটি মানহানির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ধারায় মামলা করা হলে অপরাধীর সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে, ৫০৫ নম্বর ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। এ ধারা অনুযায়ী, সামরিক কর্মকর্তারা বিদ্রোহের জন্য প্রভাবিত হন বা জনসাধারণের মধ্যে শঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো মন্তব্য করা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইমরান খান। পিটিআই চেয়ারম্যানের দাবি, বর্তমান সরকার তার বিরুদ্ধে সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে ১০০টিরও বেশি মামলা নথিভুক্ত করিয়েছে।
তবে, পুলিশ ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে জানিয়েছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাজধানীতে মোট ২৯টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৮টি পুলিশে ও একটি ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ)। এগুলোর মধ্যে একটি বাতিল করা হয়েছে ও সাতটির তদন্ত চলছে। তাছাড়া ২০টি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
সূত্র: জিও নিউজ