রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণসীমা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি পর্যায়ে ৫০ লাখ ডলার কমিয়ে সর্বোচ্চ ২ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এর আগে কয়েক দফায় সুদহার বাড়িয়ে সাড়ে ৪ শতাংশ করা হয়।
ঠিক সময়ে অর্থ ফেরত না দিলে আরও ৪ শতাংশ দণ্ড সুদের বিধান করা হয়। আজ রোববার ঋণসীমা কমানো সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিজিএমইএ ও বিটিএমএর সদস্য মিলগুলো এখন থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে পণ্য আমদানিতে সর্বোচ্চ ২ কোটি ডলার ঋণ নিতে পারবে। এত দিন এ সংগঠনের সদস্য মিল সাধারণভাবে আড়াই কোটি ডলার নিতে পারতো। আর করোনায় বিশেষ ছাড়ের আওতায় গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিন কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ ছিল।
বিকেএমইএর সদস্য মিল এবং চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা রপ্তানিকারকদের ঋণসীমা কমিয়ে দেড় কোটি ডলার করা হয়েছে। আগে যা ২ কোটি ডলার ছিল। এছাড়ান ডাইড ইয়ার্ন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিওয়াইইএ) সদস্যদের দেড় কোটি ডলার থেকে এক কোটি ডলারে নামানো হয়েছে।
রপ্তানিকারকদের ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কম সুদে ডলারে ঋণ দিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১৯৮৯ সালে গঠিত হয় ইডিএফ। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ২০২০ সালের এপ্রিলে ইডিএফের আকার ৩৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি ডলার করা হয়। এরপর দফায় দফায় আরও বাড়িয়ে ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। আর সুদহার নামানো হয় ২ শতাংশে।