বকেয়া আদায়ে এবার বিমান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে যাচ্ছে জ্বালানি বিভাগ। গত সপ্তাহে জ্বালানি সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠক করেন বিপিসি এবং সংশ্লিষ্ট তেল বিতরণ কোম্পানির কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, আগেও বিমানের কাছে বারবার বকেয়া চাওয়া হয়েছে। বিমান টাকা দিতে না পারলেও আলোচনা চালিয়ে গেছে। কিন্তু এখন আর এ বিষয়ে চিঠি দিলেও তার উত্তর দেয় না। যেহেতু বিমান কোনো কথাই শুনছে না, তাই বিষয়টি বেসরকারি বিমান পরিবহণ এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিমানের কাছে সুদে-আসলে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা পাওনা।
টাকা আদায়ের লক্ষ্যে সর্বশেষ গত বছর ২৮ নভেম্বর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি পদ্মা অয়েল কোম্পানি বকেয়া পাওনা আদায়ের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশকে চিঠি দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে পদ্মা অয়েলের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।
সূত্রটি বলছে, এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হলেও বিমান বকেয়া পরিশোধ করছে না। উলটো তাদের জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা হওয়ায় তাদের তেল সরবরাহ বন্ধ করা যাচ্ছে না।
জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বিমান চাইছে বকেয়া এসব টাকা যেন পদ্মা অয়েল মাফ করে দেয়। কিন্তু এভাবে এক কোম্পানি আরেক কোম্পানির বকেয়া মাফ করে দিতে পারে না। যেহেতু আমদানি করে তেল আনতে তাদের বিনিয়োগ করতে হয়েছে। এখন পুরো দায় পদ্মা অয়েলের ওপর চাপানোটাও যৌক্তিক নয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, শিগগিরই এ বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে। ওই সভায় বিমান বাংলাদেশ কবে নাগাদ বকেয়া পরিশোধ করবে তা তাদের নির্দিষ্ট করে বলতে হবে। বিমান অন্যের অর্থ বকেয়া রেখে নিজেদের মুনাফা দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন জ্বালানি বিভাগের এ কর্মকর্তা।