বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় গোলাগুলিতে আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেখানে এখন থমথমে অবস্থা। এদিকে নিহতদের পরিচয় মিলেছে। তবে স্বজনরা লাশ নেননি। লাশ গ্রহণ করেছে বম সোশ্যাল কাউন্সিল। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
রোয়াংছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়কারী কয়েক পরিবার একত্রিত হয়ে রান্নাবান্না করছে। খাবার ও পাতিল বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। কয়েকজনকে দেখা গেল বিমর্ষ মুখে বসে আছেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। এই আশ্রয়কেন্দ্রে এখন শিশুসহ অন্তত ২০০ জন নারী-পুরুষ আছেন।
রুমা উপজেলা সদরের বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন ২০ পরিবারের ৭০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। বৃহস্পতিবার রাতের গোলাগুলির ঘটনায় খামতাংপাড়ার লোকজনের একাংশ রোয়াংছড়িতে এবং কিছু লোক রুমা উপজেলা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মার্মা।
তিনি বলেন, খামতাংপাড়ায় গোলাগুলির ঘটনার পর কিছু মানুষ বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার মতো কোনো তহবিল নেই। তবে স্থানীয় পর্যায়ে সহযোগিতার টাকা উত্তোলন করে তাঁদের খাবার-দাবারসহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
রোয়াংছড়ির ইউএনও খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, গোলাগুলির ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
পুলিশ নিশ্চিত না করলেও শনিবার বম সোশ্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিচয় জানানো হয়েছে। নিহতরা হলেন কাঁচামাল ব্যবসায়ী ভান লাল দুহ বম ভান দুহ, জুমচাষি সাং খুম লিয়ান বম আবেই, কলেজপড়ুয়া সান পির থাং বম ও বয়রেম বম, জুমচাষি লাল লিয়ান ঙাক বম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক লাল ঠা জার বম; তারা রুমা উপজেলার জুরভারংপাড়ার বাসিন্দা। অন্যদিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার রয়েছেন কাঁচামাল ব্যবসায়ী পানখিয়াংপাড়ার জাহিম বম ও রনিনপাড়ায় জৌ বম।
তবে রোয়াংছড়ি থানার ওসি আবদুল মান্নান বলেন, নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পুলিশ কাজ করছে। অপেক্ষা করা হচ্ছে কেউ মামলা করতে আসেন কিনা; কেউ না এলে পুলিশ মামলা করার উদ্যোগ নেবে।