চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ২২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন সপ্তাহখানেকের মধ্যে পরিশোধ করা হতে পারে বলে আশা করছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন।
এফডিসির কর্মকর্তা থেকে মালি, ক্লিনার, নিরাপত্তারক্ষী—কোনো কর্মীই জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পাননি। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন ধরে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের খবর মিলেছে। এর মধ্যে গতকাল এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে বেতনের দাবিতে একটি চিঠি দিয়েছে এফডিসি কলাকুশলী ও কর্মচারী লীগ।
বিষয়টির অগ্রগতি জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় মুঠোফোনে নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, তিনি আশা করছেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মিলবে; সেটা পেলে বেতন পরিশোধ করা হবে।
নিজস্ব তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় কর্মীদের বেতন–ভাতাসহ ব্যয় নির্বাহের জন্য কয়েক বছর ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুদানের ওপর নির্ভর করে চলছে এফডিসি। তারই ধারাবাহিতকায় গত বছরের নভেম্বরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ২০ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে এফডিসি। তার বিপরীতে এফডিসিকে অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে।
এফডিসির এখন মাসে আয় ৩০ লাখ টাকা। তার বিপরীতে কর্মীদের প্রতি মাসে বেতন বাবদ ব্যয় ৯৮ লাখ টাকার মতো। ফলে এফডিসির তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে না। সঙ্গে অবসরে যাওয়া কর্মীদের যথাযথ পাওনা পরিশোধ করা যায়নি।
গত ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এফডিসিকে সাত কোটি টাকা দেয় সরকার। এর আগে ২০২০ সালে দুই মাসের বেতন বাকি পড়েছিল, পরে সে বছর এপ্রিলে ছয় কোটি টাকা অনুদান পেয়ে বেতন পরিশোধ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।