‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন নয়, বাতিল করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) একটি কালো আইন। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এ আইন সংশোধন নয়, বাতিল করতে হবে। মঙ্গলবার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: অভিজ্ঞতা ও শঙ্কা’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব মন্তব্য করেন।

এতে শাহ্দীন মালিক আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, আমরা যে উদ্ভট এক পৃথিবীতে বসবাস করছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এই আইন সংশোধন সম্ভব নয়, বাতিল করতে হবে। কারও অনুভূতিতে আঘাতের মতো বিষয়গুলো পশ্চিমা বিশ্বে তিন শতাব্দী আগে বাতিল হয়ে গেছে।

আলী রীয়াজ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে। এ আইন বাতিল করতে হবে। আইনি ও আইনবহির্ভূত কাঠামোর মধ্য দিয়ে সামনে আরও ভয়াবহ সময় আসছে। ডিএসএতে প্রতিদিন গড়ে চারজন অভিযুক্ত হচ্ছেন। আইনটির অধীনে ২১ শিশু আটক ও ২৬ শিশু অভিযুক্ত হয়েছে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ব্যবহার-অপব্যবহার যাই হোক না কেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকাটাই সমস্যা। এটি খড়্গ হয়ে সবার মাথার ওপর আছে। সরকার চাইলে যা খুশি তা করতে পারে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন না থাকলেও পারে। এ বিষয়ে তিনি ২০১৮ সালে তাঁর বাসভবনে এবং তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা নিয়ে কথা বলেন।

ব্যারিস্টার সারা হোসেন মনে করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইনগুলোর প্রয়োগ নির্বাচনের বছর এলে বাড়ে।

এ আইনের মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করেন ফারুক ফয়সালও। তিনি বলেন, এ ধরনের আইন দিয়ে সরকার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে এবং তা ক্রমে বাড়ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা থাকে না। আগামী নির্বাচনের আগে আরও তিনটি আইন-বিধির খসড়া তৈরি হয়েছে– উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ওটিটি নীতিমালা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রবিধান।

শেয়ার করুন