সুদানে সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সোমবার (১৭ এপ্রিল) তৃতীয় দিনের মতো সংঘর্ষ হয়েছে। এই সংঘর্ষে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে প্রায় দেড় শ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক হাজার ব্যক্তি।
সুদানের চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে, এই সংঘাতে কমপক্ষে ৯৭ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৪৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মোট ৯৪২ জন। তবে বড় ধরনের গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সরকারের পক্ষ থেকে হতাহতের পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি।
রাজধানী খার্তুম আজও বোমাবর্ষণ, বিস্ফোরণ ও যুদ্ধবিমানের হামলায় কেঁপে ওঠে। সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরের কাছেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। নীল নদের ঠিক অপর পারে বাহরিতে আরেকটি ঘাঁটির কাছেও সংঘর্ষের কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। রাজধানীর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
আজকের লড়াইয়ে দুই পক্ষই সাফল্য অর্জনের পাল্টাপাল্টি দাবি করেছে। বিমানবন্দর ও সামরিক বাহিনীর একাধিক ঘাঁটি দখলের দাবি করেছে আরএসএফ। অন্যদিকে ‘সীমিত আকারের সংঘর্ষ’ চললেও সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। গোলাগুলির কারণে অবশ্য কিছুক্ষণ সম্প্রচার ব্যাহত হয়। এরপর সেনাবাহিনী আরএসএফের যান ধ্বংস করছে, এমন ভিডিও সম্প্রচার শুরু করে টেলিভিশনটি। আগের দিন টেলিভিশন ভবন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছিল আরএসএফ।
এদিকে আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। সাবেক এই মিলিশিয়া বাহিনীর সেনাবাহিনীতে একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছিল।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে আরএসএফ ২০১৯ সালে সুদানের দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর থেকে সেনাপ্রধান বুরহানের নেতৃত্বে সার্বভৌম পর্ষদ সুদানে ক্ষমতায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন এই পর্ষদে উপনেতা হিসেবে রয়েছেন আরএসএফ প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। দুই জেনারেলের বাহিনীর মধ্যে এখন লড়াই চলছে।