উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সামরিক বাহিনীর সাথে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যকার লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে মধ্যস্থতার পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছিল দুই পক্ষ। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার লড়াই শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় অস্ত্রবিরতি চালু হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে যায়। আবার গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় রাজধানী খার্তুমে।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে অন্য়ের ঘাড়ে দোষ চাপানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র নিউইয়র্কে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, এই লড়াই মানবিক বিপর্যয় ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে সুদানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তিনজন কর্মী মারা যাওয়ার পর তারা সুদানে তাদের কাজ বন্ধ রেখেছে। এই সংঘাতের ফলে অন্ততপক্ষে ১৮৫ জন মারা গেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি করতে বলেছেন।
এরপর সুদানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র খালেদ আল আকিদা জানান, তারা অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব মেনে নিচ্ছেন। আধাসামরিক বাহিনীর কমান্ডারের পরামর্শদাতা মুসু খাদ্দাম জানান, খার্তুমে তাদের বাহিনী অস্ত্রবিরতি মেনে চলবে।
খার্তুমে বিমান হামলা হচ্ছে, কামান থেকে গোলাবর্ষণও করা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলি চলছে। ফলে বাসিন্দা ও বিদেশিরা বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না।