সায়েদাবাদে যাত্রীর চাপ নেই, বাস ছাড়ছে সময়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশালের রাকিব হোসেন থাকেন রাজধানীর খিলগাঁওয়ে। সেখানকার একটি বেকারির দোকানে চাকরি করেন। ঈদে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেলা ১১টায় আসেন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে। পরে তিনি সাকুরা পরিবহনের একটি টিকিট কেনেন।

রাকিব হোসেন বলেন, ঈদের আগে যাত্রীদের যে ভিড় থাকার কথা, সেটি এবার নেই। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে এ রুটে যাত্রীদের যেমন চাপ বেড়েছে, গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে। যে কারণে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেল, ঈদের আগে এই টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। বেশিরভাগ বাস ঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে বাস কাউন্টারগুলোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলছেন, সায়েদাবাদ থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা অঞ্চলের বাসগুলো যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে ফেরার সময় যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় যানজট লেগে থাকে। ঈদের এ সময় ধোলাইপাড়ে যানজট দেখা গেছে।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের বাস কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলছেন, মঙ্গলবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। আগেভাগে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে।

সাকুরা পরিবহনের সুপারভাইজার রাসেল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন পরিবহনে বাসের সংখ্যা বেড়েছে। এবার আগেভাগে ছুটি শুরু হওয়ায় ঈদযাত্রা আগেই শুরু হয়েছে। এ কারণে ঈদের দু-এক দিন আগে যে ভিড় থাকার কথা, সেটি নেই।

কেবল বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বাসের যাত্রী কম তা নয়, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জগামী বাসগুলোতে যাত্রীর কোনো চাপ নেই। ঢাকা-হবিগঞ্জ রুটের দুরন্ত পরিবহনের জামাল আহমেদ বলেন, ঈদের এক কিংবা দুদিন আগে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ঘরমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। কিন্তু এবার যাত্রীদের চাপ নেই। যথাসময়ে বাস টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটেও যাত্রীদের ভিড় নেই বলে জানিয়েছেন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাউন্টারগুলোর টিকিট বিক্রেতারা। শ্যামলী পরিবহনের সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের টিকিট বিক্রেতা মোহাম্মদ নাইম বলেন, যাত্রীদের ভিড় তেমন নেই।

শেয়ার করুন