সাংবাদিক সেজে সাংবাদিকের ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে সম্প্রতি ভারতের সাবেক সংসদ সদস্য ও ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদকে গুলি করে হত্যা করেন বন্দুকধারীরা। আজ বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ পুলিশ বলেছে, মূল অভিযুক্ত লাভলেশ তিওয়ারিকে সাংবাদিক সাজতে সহযোগিতা করেছিলেন তিন ব্যক্তি। তাদেরকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
‘গ্যাংস্টার’ থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া আতিক ও তার ভাই আশরাফ কারাগারে ছিলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১৫ এপ্রিল রাতে তাদেরকে প্রয়াগরাজের কলভিন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।
হাসপাতালের সামনে পৌঁছানোর পর হাতকড়া পরা অবস্থায় তারা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। ভিড়ের মধ্যে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে থাকা বন্দুকধারীরা খুব কাছ থেকে দুই ভাইকে গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
আতিক আহমেদকে হত্যার আগে আসামি লাভলেশ তিওয়ারি, অরুণ মৌর্য ও সানি সিং পুরো একদিন ধরে তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এরপর গত শনিবার টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে ও পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফকে গুলি করা হয়।
সাংবাদিকের ছদ্মবেশ ধারণে হত্যাকারীদের সহযোগিতাকারী তিন ব্যক্তি স্থানীয় একটি সংবাদ ওয়েবসাইটে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ বলেছে, ওই তিনজন মূল অভিযুক্ত তিওয়ারি সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাদের সহযোগিতা নিয়ে তিওয়ারি একটি ক্যামেরা কিনেছিলেন।
বিশেষ তদন্ত দলের সদস্যরা উত্তর প্রদেশের বান্দা রেলস্টেশন থেকে ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে বলেও উল্লেখ করেছে পুলিশ। গতকাল আতিক আহমেদের স্ত্রী শায়িস্তা পারভীনকে খুঁজতে উত্তর প্রদেশ পুলিশ কাউশাম্বিতে অভিযান চালিয়েছে।