বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরিসংক্রান্ত একটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর সাজা বাতিল চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল সেটি খারিজ করেছেন দেশটির একটি আদালত। বুধবার (১৯ এপ্রিল) তার আবেদন খরিজের ফলে সাজা বহাল থাকছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে আট কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। পরে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের মাকাতি শাখার মাধ্যমে তা ক্যাসিনো ও বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে চলে যায়। অর্থ পাচারের এই ঘটনায় আরসিবিসির মাকাতি শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে সরাসরি জড়িত ছিলেন মায়া সান্তোস দেগুইতো।
ফিলিপাইনের আপিল আদালত বলছেন, দেগুইতো আরসিবিসির নিছক কর্মী ছিলেন না। তিনি যে হিসাব খুলেছিলেন, তার কারণেই পুরো বিষয়টি সম্ভব হয়েছিল।
এদিকে ফিলিপাইনের বিচারিক আদালত দেগুইতোর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের আটটি অভিযোগের সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত করেন। প্রতিটি অভিযোগে তাকে চার থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়। মায়া দেগুইতো এই অবৈধ ব্যাংক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার বিচারিক আদালতের সাজা আপিল আদালত বহাল রেখেছেন।
সাজা বাতিলের আপিলে মায়া সান্তোস বলেছিলেন, অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি থেকে বিচারিক আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছিলেন। লেনদেন অবৈধ জেনেও তা তিনি হতে দিয়েছেন, এই কথা ‘অনুমান’ বলেও আপিলে আবেদনে উল্লেখ করেন মায়া।