কমলো তাপমাত্রা, হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তাপমাত্রা
ফাইল ছবি

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে গত ১৩ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। টানা ৯ দিন পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে ৪০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। একইসঙ্গে কাটলো তীব্র তাপপ্রবাহও।

শনিবার (২২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় মোংলা ও যশোরে। আগের দিন শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়।

universel cardiac hospital

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮ বিভাগের কোনো কোনো স্থানে ঝড়-বৃষ্টির হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।

দীর্ঘদিন সারাদেশ বৃষ্টিহীন থাকায় মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তীব্র গরমে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জনজীবন। গত ১৭ এপ্রিল সিলেটে বৃষ্টির দেখা মেলে। এরপর দেশের অন্যান্য অংশেও ধীরে ধীরে ঝড়-বৃষ্টি বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে কমতে থাকে তাপমাত্রা।

ঢাকায় বহুপ্রতীক্ষিত বৃষ্টি হয় শুক্রবার বিকেলে। শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় ১, ডিমলায় ১৮, চট্টগ্রামে ৮, কুমিল্লায় ১৩, মাইজদীকোর্টে ১, ফেনীতে ১, কক্সবাজারের ৩, বরিশালে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, রাজশাহী, পাবনা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে বলেও জানান তিনি।

আগামী দুদিন ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।’

শেয়ার করুন