যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও চীনের কূটনীতিক এবং নাগরিকদের সুদান থেকে বিমানে করে সরিয়ে নেওয়া হবে।
সুদানের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
দেশটির সেনাপ্রধান ফাত্তাহ আল-বুরহান কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের নিরাপদে এবং সহজে সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি আধাসামরিক দল র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের নেতার সঙ্গে ক্ষমতার লড়াইয়ে আবদ্ধ।
যুক্তরাজ্যের সরকার বলেছে, তারা অনেকগুলো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার আগের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ, মার্কিন, ফরাসি এবং চীনা নাগরিক ও কূটনীতিকদের রাজধানী খার্তুম থেকে সামরিক পরিবহন বিমানে করে সরিয়ে নেওয়া হবে।
যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, তারা ব্রিটিশ নাগরিক এবং খার্তুমে কূটনৈতিক কর্মীদের সহযোগিতার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
সুদানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সৌদি আরবের কূটনৈতিক মিশন ইতিমধ্যেই স্থলপথে উপকূলীয় শহর পোর্ট সুদানে এবং সেখান থেকে আকাশপথে সৌদি আরবে সরিয়ে নিয়েছে। জর্ডানের কূটনৈতিক মিশন সুরক্ষিত থাকবে।
সহিংসতার কারণে খার্তুমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশী দূতাবাসগুলো তাদের নাগরিকদের বাড়িতে আনতে অক্ষম।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ঈদুল ফিতরের ছুটি উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া সত্ত্বেও সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ উভয় পক্ষই সংঘর্ষের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও শনিবার রাজধানীতে বিক্ষিপ্ত গোলাগুলি ও বিমান হামলার শব্দ শোনা গেছে।
খার্তুমে আশ্রয় নেয়া একজন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিয়ম আল-মাহদি বিবিসিকে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি মোটেই হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন। গত ছয় দিন ধরে আমরা পানিহীন।’
যুদ্ধে মেডিকেল টিমকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় আমাদের যুবকদের পচা লাশ পড়ে আছে।’