স্থান অদলবদল হলো। ম্যাচের আগে চেন্নাই সুপার কিংস ছিল পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে, রাজস্থান রয়্যালস তিনে। ৩২ রানের বড় জয়ে শীর্ষস্থানটি দখলে নিলো সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান, মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই নেমে গেলো তিনে।
রাজস্থানের মাঠে ধোনিদের সামনে লক্ষ্য ছিল বিশাল, ২০৩ রানের। রান তাড়ায় কখনই মনে হয়নি চেন্নাই এ ম্যাচটা জিততে পারে। ওপেনার ডেভন কনওয়ে ১৬ বল খেলে করেন ৮ রান। ১৩ বলে ১৫ করে আউট আজিঙ্কা রাহানে।
রুতুরাজ গাইকদের ২৯ বলে ৪৭ রানের পরও ৭৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে চেন্নাই। তখন চলে গেছে ১০.৪ ওভার। এরপর মঈন আলির ১২ বলে ২৩ আর রবীন্দ্র জাদেজার ১৫ বলে ২৩ রানে পরাজয়ের ব্যবধানই যা একটু কমেছে।
শিভাম দুবে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন। তবে তার ৩৩ বলে ৫২ রানের ইনিংসে দলের কোনো উপকার হয়নি। ৬ উইকেটে ১৭০ রানে থামে চেন্নাই।
অ্যাডাম জাম্পা ২২ রানে নেন ৩টি উইকেট।
এর আগে জসশ্বী জ্যাসওয়েলের ঝোড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২০২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।
ঘরের মাঠে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় রাজস্থান। ৫০ বলে ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন জ্যাসওয়েল আর জস বাটলার। বাটলার ঠিক নিজের মতো খেলতে পারেননি। ২১ বলে ২৭ করে আউট হয়ে যান। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ফেরেন ১৭ বলে ১৭ করে।
তবে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন জ্যাসওয়েল। ৪৩ বলে ৮ চার আর ৪ ছক্কায় এই ওপেনার খেলেন ৭৭ রানের ইনিংস। সিমরন হেটমায়ার সুবিধা করতে পারেননি। ১০ বল খেলে করেন ৮।
এরপর জুরেল আর পাডিক্কেল মিলে দলকে বড় সংগ্রহে নিয়ে গেছেন। জুরেল ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে আউট হন ১৫ বলে ৩৪ করে। পাডিক্কেল অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৭ রানে।
চেন্নাইয়ের তুষার দেশপান্ডে ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৪২ রান।