ইউক্রেনজুড়ে সতর্কতা সাইরেন, একাধিক শহরে হামলা

মত ও পথ ডেস্ক

ফাইল ছবি

ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ইউক্রেনজুড়ে বাজতে শুরু করেছে হামলার সতর্কতা সাইরেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি শহরে শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর আল-জাজিরার।

বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেন জানিয়েছে, শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) ভোররাতে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় দিনিপ্রো, ক্রেমেনচুক ও পোলতাভাতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো বলছে, দক্ষিণে মাইকোলাইভের পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভ এবং আশপাশের অঞ্চলগুলোতেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

কিয়েভের এক বাসিন্দা ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে বলেছেন, বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভেঙেছে। মনে হচ্ছিল, ভূমিকম্প হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণের অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য সম্প্রতি বড় পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ঠিক সেই সময়েই এই জোরালো অভিযান চালানো হলো।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহর দখলে তীব্র আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। সেখানে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন ইউক্রেনের সেনারা।

রুশ বার্তা সংস্থা তাসের খবর অনুসারে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বাহিনী বাখমুতের উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমের চারটি ব্লক নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, দোনেৎস্কের দিকে আক্রমণকারী দলগুলো আর্টেমোভস্ক [বাখমুত] শহরের উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চারটি অংশ দখল করে নিয়েছে। বিমানবাহী সৈন্যরা শহরের উত্তর ও দক্ষিণ উপকণ্ঠে শত্রুদের কোণঠাসা করে ফেলেছে।

এদিকে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো টেলিফোনে কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও চীনের নেতা শি জিনপিং।

জেলেনস্কি বলেছেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘ ও অর্থপূর্ণ আলাপ হয়েছে। অন্যদিকে জিনপিং বলেছেন, বেইজিং সবসময়ই শান্তির পক্ষে। ‌‘সংলাপ ও আলোচনাই’ সংকট থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ।

চীনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, কিয়েভ সব যুক্তিসংগত উদ্যোগই প্রত্যাখ্যান করে আসছে এবং অবাস্তব দাবি তুলে আল্টিমেটাম দিয়ে যাচ্ছে।

জেলেনস্কির সঙ্গে শি জিনপিংয়ের ফোনালাপের পর বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, চীন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের অংশ হিসেবে কিয়েভ ও অন্যান্য রাজধানীতে একজন বিশেষ প্রতিনিধি পাঠাবে, যার লক্ষ্য হবে রাজনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা।

শেয়ার করুন