রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : ইউক্রেনের এক ভবনেই নিহত ২৩

মত ও পথ ডেস্ক

ছবি : ইন্টারনেট

রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আবারও বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একটি ভবনে হামলাতে চার শিশুসহ ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় চেরক্যাসি অঞ্চলের উমান শহরের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে চার শিশুসহ ২৩ জন প্রাণ হারান। হামলায় ওই ভবনের ৪৬টি অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে ২৭টিই পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

universel cardiac hospital

এছাড়া স্থানীয় একজন মেয়র জানিয়েছেন, উমানের পূর্বে অবস্থিত দনিপ্রো শহরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তিন বছরের এক শিশু এবং একজন নারী নিহত হয়েছেন।

মধ্যাঞ্চলীয় আরও একটি শহর ক্রেমেনচুকেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সেই রেজনিকফ বলছেন, রাশিয়ার ওপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করতে তাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে।

পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটো জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে যেসব যুদ্ধ সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার ৯৮ শতাংশই কিয়েভের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী অত্যাধুনিক এসব অস্ত্র দিয়ে রুশ সৈন্যদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং প্রচুর গোলাবারুদ।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, সর্বশেষ এই আক্রমণ থেকে আবারও প্রমাণ হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। অশুভ শক্তিকে অস্ত্র দিয়ে থামানো সম্ভব। আমাদের রক্ষাকারীরা সেটা করছে। নিষেধাজ্ঞা দিয়েও একে থামানো যাবে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়াতে হবে।

এদিকে রাজধানী কিয়েভে সামরিক প্রশাসন বলছে, ৫১ দিন পর এই শহরে আবারও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করলো।

টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার ছোঁড়া ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ২১টিকে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে আকাশেই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও রাশিয়ার দুটি ড্রোনকেও গুলি করে মাটিতে নামানো হয়।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা যখন পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া ট্যাঙ্কসহ নতুন নতুন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করার কথা বলছেন, তখনই ইউক্রেনজুড়ে এই হামলা চালানো হলো।

শেয়ার করুন