সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সন্দেহভাজন নেতাকে তুর্কি বাহিনী হত্যা করেছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। আবু হুসেইন আল-কুরায়শি গত শরতে তার পূর্বসূরি নিহত হওয়ার পর সংগঠনটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এরদোয়ান সম্প্রচারকারী টিআরটি তুর্ককে বলেছেন, তুরস্কের এমআইটি গোয়েন্দা সংস্থার অভিযানে শনিবার আইএস নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আইএস এখনও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। বিবিসিও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
এরদোয়ান বলেন, ‘এমআইটি গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে কুরাইশিকে অনুসরণ করছিল’।
অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যে কোনও মূল্যে আমরা সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাবো’।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে সিরিয়ার একটি সূত্র জানায়, তুর্কি সীমান্তের কাছে উত্তরাঞ্চলীয় শহর জান্দারিসে এ অভিযান চালানো হয়।
জিহাদি সংগঠনটি গত নভেম্বরে তাদের নেতা আবু আল-হাসান আল-হাশেমি আল-কুরায়শির মৃত্যুর ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ২০২২ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝিতে দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ায় বিদ্রোহী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির অভিযানে তিনি নিহত হন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ববর্তী নেতা আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে এবং তার পরিবারকে হত্যা করার পর তিনি সংগঠনটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
আইএস একসময় উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে উত্তর ইরাকজুড়ে প্রায় ৮৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার (৩৪ হাজার বর্গ মাইল) বিস্তৃত অঞ্চল দখল করে প্রায় ৮০ লাখ মানুষের ওপর তাদের নৃশংস শাসন চাপিয়েছিল। ২০১৯ সালে সংগঠনটিকে তার শেষ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। তবে জাতিসংঘ গত জুলাইয়ে সতর্ক করে জানিয়েছিল, আইএসের হুমকি শেষ হয়নি। তারা আবার ফিরে আসছে।
সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসের ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এদের বেশিরভাগই গ্রামাঞ্চলে ঘাঁটি গেড়েছে। আচমকা হামলা করে পালিয়ে যাওয়া, রাস্তার পাশে বোমা পুঁতে রাখার মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
আইএসের আঞ্চলিক সহযোগীরা এখন বিশ্বের অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে হুমকি সৃষ্টি করছে। জাতিসংঘ বলছে, সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্কগুলো আফগানিস্তান, সোমালিয়া এবং লেক চাদ অববাহিকায় অবস্থিত।
সূত্র: বিবিসি