বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আবারও ৮০ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। সোমবার (১ মে) বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ৬১ সেন্ট ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৬৩ সেন্ট কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সম্ভাব্য সুদের হার বৃদ্ধি এবং চীনের দুর্বল উৎপাদন সূচকের চিত্র প্রকাশ্যে আসায় তেলের বাজার নিম্নমুখী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, সোমবার গ্রিনিচ মিন টাইম ৩টা ১৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ১৩ মিনিট) ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই উভয়ের ০.৮ শতাংশ দরপতন হয়েছে। এদিন ব্রেন্ট বিক্রি হচ্ছে ব্যারেলপ্রতি ৭৯ দশমিক ৭২ ডলারে এবং ডব্লিউটিআই’র দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেল ৭৬ দশমিক ১৫ ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রে গত মার্চ মাসে ভোক্তা ব্যয় অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে মূল্যস্ফীতির চাপে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ আবারও সুদের হার বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এএনজেড রিসার্চ একটি ক্লায়েন্ট নোটে বলেছে, ফেডের আগ্রাসী পদক্ষেপ জ্বালানি এবং ধাতু বাজারের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে।
ফেডারেল রিজার্ভ এই সপ্তাহে সুদের হার আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছরের মার্চ থেকে পলিসি রেট ৪৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে শূন্যের কাছাকাছি থেকে বর্তমান ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশ রেঞ্জে উন্নীত করেছে।
অন্যদিকে, চীনের ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) গত মার্চ মাসে ৫০ পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। গত রোববার দেশটির সরকারি তথ্যে দেখা যায়, চীনের পিএমআই পয়েন্ট ৫১ দশমিক ৯ থেকে কমে ৪৯ দশমিক ২-এ দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানেও ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্থরতা দেখা দিয়েছে। দেশটিতে গত এপ্রিলে টানা ষষ্ঠ মাসের মতো কারখানার উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে।
এএনজেডের নোটে বলা হয়েছে, মিশ্র অর্থনৈতিক সংকেতের মধ্যে সাধারণত সতর্ক থাকেন বিনিয়োগকারীরা। সাম্প্রতিক সেশনে ব্রেন্ট ক্রুড বৃহত্তর বাজার অনুসরণ করছে। বেশ কয়েকটি অর্থনীতির তথ্য আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
এর আগে, জ্বালানি সংস্থাগুলো ইতিবাচক আয়ের তথ্য প্রকাশের পর গত শুক্রবার বেশিরভাগ তেলের দাম দুই শতাংশ বেড়েছিল।