স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, জঙ্গল থেকে ঘাতক গ্রেফতার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণকে (১৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ঘাতক কাওসারকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার প্রেমনগর সালিপুরা এলাকায় একটি জঙ্গল থেকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন।

universel cardiac hospital

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ।

তিনি বলেন, আমরা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত বখাটে কাওসারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি একটি জঙ্গলে সে লুকিয়ে ছিল। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বারহাট্টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বারহাট্টা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে নারী প্রগতি সংঘ, ইয়ুথ গ্রুপ, কমিউনিটি ফোরাম ও সর্বস্তরের নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচির পালন করা হয়। এসময় বক্তারা অভিযুক্ত কাওসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নারী প্রগতি সংঘের উপজেলা ব্যবস্থাপক সুরজিত ভৌমিকের পরিচালনায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে নেত্রকোনা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার ঘোষ, জেলা রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সদস্য নারায়ণ কর্মকার, মহিলা পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিলোফা সুলতানা, উপজেলা উদীচীর সভাপতি কান্তিরঞ্জন চন্দ চৌধুরী, কবি মনোয়ার সুলতান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন উপজেলা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন, কংস থিয়েটারের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র পাল, ইয়ূথ গ্রুপের সভাপতি ধৃতি সরকার, নিহত মুক্তির বাবা নিখিল বর্মণ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে উপজেলার ছালিপুরা এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেন মো. কাওসার মিয়া। নিহত মুক্তি উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর অভিযুক্ত কাওসার মিয়া একই গ্রামের মো. শামসু মিয়ার ছেলে।

জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, ধানক্ষেতের পাশে একটি জঙ্গলে কাওসার লুকিয়ে ছিলেন। আমাদের ডিবি সদস্য মতিউর রহমান ও চান মিয়া সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাওসার হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন।

শেয়ার করুন