যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য কমনওয়েলথ অঞ্চলের রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী ক্যামিলার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ওয়াশিংটন ডিসির ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওয়াশিংটন সময় ০৮:২৫ মিনিট নাগাদ রওনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন।
ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০:৫৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) অবতরণ করবে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
লন্ডনে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ নেতাদের একটি অনুষ্ঠান, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান ও একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান এবং মার্কিন ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে একটি গোলটেবিল বৈঠক, বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গের সাথে বেশ কয়েকটি বৈঠক ও একটি নাগরিক সংবর্ধনাসহ কিছু পার্শ্ব ইভেন্টে যোগ দেন।
তিনি তার জাপানি সমকক্ষ ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জাপানের টোকিওতে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করে ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেন।
এর আগে ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জাপান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান করে।
জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়াদি, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনা জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর একই দিনে তিনি তার জাপানি সমকক্ষ ফুমিও কিশিদার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চার জাপানি নাগরিকের কাছে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ হস্তান্তরের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ও একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির পাশাপাশি জাইকা, জেট্রো, জেবিক, জেবিপিএফএল ও জেবিসিসিইসি নেতৃবৃন্দের সাথে একাধিক দ্বিপক্ণীয় বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্ত্রী আকি আবে এবং জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সঙ্গেও দেখা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী মো. জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাগণ জাপান সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
আগামী ৯ মে লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।