গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তানের নিচে দেখানো ফ্রান্সভিত্তিক সংস্থা রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্সের প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া ও বিদ্বেষপ্রসূত’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে যেখানে মেয়েরা স্কুল ও ইউনিভার্সিটিতে যেতে পারে না, যেই আফগানিস্তানে কেউ কথাই বলতে পারে না, সেটার নিচে বাংলাদেশকে দেখিয়েছে তারা। এতেই তো প্রমাণ হয়, এই রিপোর্ট ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়া” এবং ‘গল্প’ ছাড়া অন্য কিছু নয়। দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আজকে পৃথিবীতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উদাহরণ। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বেশি।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের অর্জনে বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। হতাশা ও গাত্রদাহ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যাচারের অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তো দেশের জন্য গিয়েছেন। জাপান বিভিন্ন প্রকল্পে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার চুক্তি করেছে। যে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তারা ভুল বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ওয়াশিংটনে নিয়ে গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তারা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এবং ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে। বিএনপি এই অর্জনগুলো মানুষের কাছে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে কেন, সেটিই আমার প্রশ্ন। মির্জা ফখরুল সাহেবদের বলবো, দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী যেই সহযোগিতা ও সম্মান বয়ে এনেছেন, সেজন্য তারাও সম্মানিত বোধ করতে পারেন।
