রাশিয়ার বেসরকারি বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রোববার জানিয়েছেন, মস্কো তাদের আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে। গত কয়েকমাস ধরে বাখমুতে প্রবল লড়াই চলছে ওয়াগনার গ্রুপের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনার। সেখানে ওয়াগনার গ্রুপের বহু সদস্য নিহত হয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই ওয়াগনার প্রধান জানাচ্ছিলেন, তাদের গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সেনা তাদের গোলাবারুদ না দিলে সদস্যদের বাখমুত থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন ইয়েভজিন। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া বাখমুতে তাদের ওপর নির্ভর করে আছে। কিন্তু তাদের কোনোরকম সাহায্য করছে না। ফলে গোলাবারুদের অভাবে তার বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু হচ্ছে।
বাখমুত থেকে গ্রুপের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তারপরেই দ্রুত নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে মস্কো। প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াগনার গ্রুপকে সবরকম সাহায্য করা হবে। তাদের গোলাবারুদ এবং অস্ত্র সরবরাহ করা হবে।
গত কয়েকমাসের মধ্যে বাখমুতই ইউক্রেনের একমাত্র জায়গা রাশিয়া যা দখল করতে পেরেছে। তবে বাখমুত পুনরুদ্ধারের জন্য তীব্র লড়াই করছে ইউক্রেনের সেনা। ফলে বাখমুত কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে।
যুদ্ধের শুরুতে পূর্ব ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি জায়গা রাশিয়ার সেনা দখল করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন তার বেশ কয়েকটি পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে। বাখমুত ইউক্রেন ও রাশিয়া কৌশলগত অঞ্চল বলে মনে করে। ফলে কোনো দেশই বাখমুত ছাড়তে চাইছে না। সে কারণেই যুদ্ধে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেসরকারি ওগনার গ্রুপকে ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ক্রাইমিয়ায় রাশিয়া সমর্থিত প্রশাসন জানিয়েছে, ইউক্রেন তাদের সেভাসটোপল অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনো কথা বলা হয়নি।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফের ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন, ইউক্রেনজুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়া একটি সন্ত্রাসী দেশ। কিয়েভেও বিমান হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি।