মঙ্গলবার বিকেলে শুনানির জন্য হাইকোর্টে এসে প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রধান ইমরান খান। তাকে গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। খবর ডনের।
পিটিআইয়ের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী প্রাথমিকভাবে ডন ডটকমকে ইমরানের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছিলেন।
ডন জানিয়েছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রধান বিচারপতি আমের ফারুককে ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে ১৫ মিনিটের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে বলেছেন ফয়সাল চৌধুরি।
আইএইচসির প্রধান বিচারপতি জাববে বলেছেন, তিনি ‘সংযম’ দেখাচ্ছেন এবং সতর্ক করেছেন যে ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান আদালতে হাজির না হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তলব করবেন।
বিচারপতি ফারুক বলেন, ‘আদালতে আসুন এবং বলুন ইমরানকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাকে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইমরান খান তার মেয়াদে পাঞ্জাবের ঝিলামে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য একটি প্রকল্প স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি তার স্ত্রী বুশরা বিবি এবং বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী, জুলফিকার বুখারি এবং বাবর আওয়ান, এই প্রকল্পে জড়িত ছিলেন। তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য ইমরান খান আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রজেক্ট ট্রাস্ট গঠন করেন যাতে বিবি, বুখারি এবং আওয়ানকে পদাধিকারী হিসেবে নাম দেওয়া হয়।
তৎকালীন পিটিআই সরকার এবং একজন সম্পত্তি ব্যবসায়ীর মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছিল, যা জাতীয় কোষাগারে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির কারণ বলে জানা গেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ইমরান খান এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা ৫০ বিলিয়ন রুপি সমন্বয় করেছে (সেই সময়ের ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড) যা ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সরকারকে পাঠিয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে আল কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সোহাওয়ার মৌজা বাকরালায় ৪৫৮ একর জমির অযাচিত সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।