ঘরের মাঠের ওয়ানডে সিরিজে বেশ দাপট দেখিয়েই আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার অ্যাওয়ে সিরিজেও তাদের হারানোর লক্ষ্যে টাইগাররা আজ (৯ মে) মাঠে নামছে। তবে আইরিশদের মাঠে নয়, নিরপেক্ষ ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে খেলবে তামিম ইকবালের দল। যদিও বৃষ্টির কারণে এই সিরিজ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজটি দেশের কোনো টিভি চ্যানেলে দেখার সুযোগ নেই টাইগারভক্তদের। তবে আইসিসি টিভিতে দর্শকরা কোনো চার্জ ছাড়াই ম্যাচগুলো দেখতে পারবেন।
সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্ভাবনা থাকলেও, সব ছাপিয়ে আলোচনায় বৃষ্টি। কারণ বৃষ্টির কারণে একমাত্র অনুশীলন ম্যাচেও নামতে পারেনি দু’দল। একইসঙ্গে মাঠ ভেজা থাকায় তামিম ইকবাল বাহিনীর প্রস্তুতিতেও কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে ম্যাচ হলে অবশ্যই জয়ের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আজ বাংলাদেশ সময় পৌনে ৪টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
গতকাল এই টাইগার প্রধান কোচ বলেছিলেন, ‘আমরা এখানকার কন্ডিশনের মতো ভারতে বিশ্বকাপ খেলবো না। তবুও আমরা সিরিজ জেতায় মনেযোগ দেব। এই কন্ডিশনে কেমন খেলি সেটাই দেখবো। কন্ডিশনের কারণে এখান থেকে বিশ্বকাপে বেশি কিছু দেখার নেই।’
জাতীয় দলের সঙ্গে এবারই প্রথম লন্ডন সফরে গিয়েছেন রনি তালুকদার এবং তাওহীদ হৃদয়। যে কারণে এমন কন্ডিশনে তাদের আগে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে হাথুরু বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে ও সফল হতে হলে সব কন্ডিশনে খেলতে হবে। এটা তাদের জন্য ভালো সুযোগ।’
সাকিব আল হাসান-মেহেদী হাসান মিরাজের মতো অলরাউন্ডার দলে থাকায় নির্ভার রয়েছেন কোচ হাথুরুসিংহে, ‘মিরাজকে জেনুইন ব্যাটার বলতে পারি। কারণ সে টেস্ট এবং ওয়ানডে ফরম্যাটে সেঞ্চুরি করেছে। আমরা তাকে জেনুইন অলরাউন্ডার হিসেবে দেখতে পারি। আমাদের আরও একজন জেনুইন অলরাউন্ডার আছে। সাকিব আল হাসান। যেকোনো কোচ এটা পছন্দ করবে। বাংলাদেশ দলে দু’জন জেনুইন অলরাউন্ডার আছে। খুব বেশি দলের এই সুবিধা নেই। আমরা ভাগ্যবান। এর সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবো।’
সাত নম্বর পজিশনের জন্য মিরাজের কথা উল্লেখ করে হাথুরু বলেন, ‘সাত নম্বরে খুব কম খেলোয়াড় খেলতে পারে। মাঝেমধ্যে ক্রিজে এসেই ১০ রান করতে হবে। আবার পাঁচ উইকেট পড়ে গেলে হাল ধরতে হবে। মিরাজ ওই কাজটা শেষ কিছু সিরিজে খুব ভালো মতোই করেছে। সুতরাং এটা কোন সমস্যা নয়।’
অবশ্য প্রথম ওয়ানডের দলে একাদশে কারা থাকবেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি হাথুরুসিংহে। তবে ধারণা করা হচ্ছে ৬ ব্যাটার এবং ৫ বোলার নিয়ে খেলবে টাইগাররা। সেক্ষেত্রে তামিম ইকবালের সঙ্গে থাকবেন লিটন দাস। তিন নম্বরে দেখা যাবে নাজমুল শান্তকে। চারে সাকিব আল হাসান, পাঁচে তাওহীদ হৃদয় এবং ছয়ে যথারীতি মুশফিকুর রহিম।
সাতে দেখা যাবে মেহেদী মিরাজকে এবং এরপর হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া একাদশ ক্রিকেটার হতে পারেন শরীফুল ইসলাম।