রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা দেওয়া-সংক্রান্ত কোনো বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপিত ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার ব্যয়ের বাজেটের খসড়া সারসংক্ষেপে মহার্ঘ ভাতার প্রস্তাব তোলা হয়নি।
বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থ মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের একটি খসড়া সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ আলোচনায় উপস্থাপিত খসড়া বাজেটের বিভিন্ন পদক্ষেপ, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ও বরাদ্দের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বাজেটের এ সারসংক্ষেপ প্রস্তাব অনুমোদনের আগে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকেও কিছু বলা হয়নি।
বাজেট প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার কোনো বরাদ্দ আপাতত বাজেট প্রস্তাবে রাখা হয়নি। চূড়ান্ত বাজেটের আগে নতুন করে সিদ্ধান্ত না হলে এবার বাজেটেও সরকারি কর্মচারীদের জন্য কোনো সুখবর থাকছে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের দাবি, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে স্কেল কিংবা মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সরকার রাজনৈতিক দর্শন থেকে যদি মনে করে এ সংক্রান্ত কোনো সুবিধা দেওয়া যায়, তা আসতে হবে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত থেকেই। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজের আওতায় পড়বে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত হলে অর্থ মন্ত্রণালয় তা করতে বাধ্য।
যদিও এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, সরকারি কর্মচারীরা অনেকের প্রত্যাশিত নতুন বেতন স্কেলের পরিবর্তে আগামী অর্থবছর থেকে ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার আওতায় আসতে পারেন। এ জন্য তারা প্রস্তুতিও রাখছেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংকটের বছরে ভোটার তুষ্টির বাজেট তৈরিতে নানা সীমাবদ্ধতা দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেখানে নতুন কোনো চমক রাখা হয়নি। বহুল প্রত্যাশিত মহার্ঘ ভাতা বিষয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়া ছাড়াই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জোর ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে আগামী অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের খসড়া বাজেট।